পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির। বাংলাদেশের তারকা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুলও কি পারবেন, ফিক্সিং কেলেঙ্কারি পেছনে রেখে আবারও ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ফিরতে? আগামী আগস্টে আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রশ্নটা উঠবে আরও জোরেশোরে। শেষ পর্যন্ত ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনই নিশ্চিত করে দেওয়ার উপায় নেই। তবে সেই সম্ভাবনা তৈরি হলে আশরাফুলকে অন্য চোখে দেখা উচিত হবে
না বলেই মন্তব্য করেছেন তামিম ইকবাল।
সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটি এখনো আছে মোহাম্মদ আশরাফুলের দখলে। ২০০১ সালে মাত্র ১৭ বছর ৬১ দিন বয়সে শতক করে ক্রিকেটবিশ্বে সাড়া জাগিয়েছিলেন প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার। বাংলাদেশের অনেক গৌরবগাথার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আশরাফুলের নাম। কিন্তু ২০১৩ সালে বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বিপিএলে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৩ আগস্ট। তার পর তাঁকে বাংলাদেশের অন্য ক্রিকেটারদের মতোই বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করছেন তামিম। গতকাল বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ভক্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আশরাফুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা খুব সেনসেটিভ ইস্যু, আমরা সবাই জানি। উনি এখন শাস্তি ভোগ করছেন। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উনি আমাদের মতোই একজন থাকবেন। যে কারণে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেই সাজা কাটিয়েই আবার ক্রিকেট মাঠে নামবেন। ফলে তখন তাঁকে অন্য চোখে দেখা উচিত হবে না। কারণ তিনি তাঁর সাজাটা পুরোপুরি ভোগ করেই ফিরছেন।’
২০১৩ সালে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ৬১টি টেস্ট খেলে আশরাফুল করেছিলেন ২,৭৩৭ রান। ১৭৭টি ওয়ানডে খেলে করেছেন ৩,৪৬৮ রান। দুই ফরম্যাটেই বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় আশরাফুলের নাম আছে চতুর্থ স্থানে। আশরাফুলের মতো প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান যে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আর আসেনি, সেটাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তামিম। আশরাফুলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি। তামিমের ভাষায়, ‘আশরাফুলের মতো প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জন্মায়নি। সাজার মেয়াদ কাটিয়ে ফেরার পর যেকোনো কিছুই হতে পারে।’
No comments:
Post a Comment