২০০৮ সালে কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর পর কখনো চ্যাম্পিয়নস লিগের বাইরে থাকতে হয়নি পেপ গার্দিওলাকে। ২০০৮-০৯ ও ২০১০-১১ মৌসুমে শিরোপাও জিতেছিলেন বার্সেলোনার কোচ হিসেবে। কিন্তু এবারের ইউরোপিয়ান ফুটবলের নতুন মৌসুমের শুরুতে ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর অনিশ্চয়তার মুখেই পড়েছিল গার্দিওলার চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহণ। ম্যানসিটিকে খেলতে হয়েছিল প্লে-অফ। তবে শেষ পর্যন্ত সব অনিশ্চয়তা দূর করে দিয়েছেন সার্জিও আগুয়েরো, জো হার্টরা। প্লে-অফের দুই লেগ মিলিয়ে রোমানিয়ার ক্লাব স্টেউয়া বুখারেস্টিকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নিয়েছে গার্দিওলার ম্যানসিটি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে প্রথম তিনটি দলের মধ্যে থাকতে পারলে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে যেত ম্যানসিটি। কিন্তু ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা এই ক্লাবের মৌসুম শেষ হয়েছিল চতুর্থ স্থান নিয়ে। ফলে এবার তাদের নামতে হয়েছিল প্লে-অফের পরীক্ষায়। সেই বাধা পেরোতে অবশ্য খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি ম্যানসিটিকে। সার্জিও আগুয়েরোর হ্যাটট্রিকে প্রথম লেগের ম্যাচে ৫-০ গোলের বড় জয়ের পর দ্বিতীয় লেগেও ম্যানসিটি জিতেছে ১-০ ব্যবধানে।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র। সেখানেই নির্ধারিত হবে গ্রুপ পর্বে কে খেলবে কার বিপক্ষে। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে গার্দিওলার প্রতিপক্ষ হিসেবে হাজির হয়ে যেতে পারে তাঁর সাবেক দুই ক্লাব বার্সেলোনা বা বায়ার্ন মিউনিখ। স্পেন ও জার্মানির শিরোপাজয়ীরা আছে চ্যাম্পিয়নস লিগ ড্রয়ের প্রথম ভাগে। অন্যদিকে প্লে-অফের বাধা পেরিয়ে দ্বিতীয় ভাগে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
২০০৮-০৯ মৌসুমে প্রথমবারের মতো বার্সেলোনার কোচের দায়িত্ব নিয়েই শিরোপা জিতেছিলেন গার্দিওলা। আবারও সাফল্য পেয়েছিলেন ২০১০-১১ মৌসুমে। দুটি মৌসুম শেষ করেছিলেন সেমিফাইনালে গিয়ে। ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার পরও টানা তিন মৌসুমে গার্দিওলা গিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল পর্যন্ত। তিন মৌসুমেই তাঁর শিরোপা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাবের কাছে হেরে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে বায়ার্ন সেমিফাইনালে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। পরের বছর গার্দিওলার বায়ার্নকে হারের স্বাদ দিয়েছিল তাঁরই সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের গত মৌসুমের সেমিফাইনালে বায়ার্নকে ধরাশায়ী করেছিল আতলেতিকো মাদ্রিদ। এবার ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হিসেবে তিনি কতদূর যেতে পারেন, সেটাই দেখার বিষয়।
No comments:
Post a Comment