আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। সফরসূচি চূড়ান্ত হলেও ইংল্যান্ড এখনো আসার ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চয়তা দেয়নি। কারণ, বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা। ইংল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বাংলাদেশকে নিয়ে শঙ্কিত মিসবাহ-উল-হক। পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়কের আশঙ্কা, ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল করলে বাংলাদেশ বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
দেশের মাটিতে খেলতে না পারার যন্ত্রণা কেমন, তা পাকিস্তানের চেয়ে আর কেউ ভালো বুঝতে পারবে না। ২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ‘ব্রাত্য’। গত বছর অনেক সাধাসাধি করে জিম্বাবুয়েকে সপ্তাহখানেকের ছোট্ট সফরে নিয়ে আসতে পারলেও বড় দলগুলো পাকিস্তানে পা রাখতেই রাজি নয়।
জুলাইয়ের শুরুতে ঢাকার গুলশানে জঙ্গি হামলার কারণে বাংলাদেশ সফর নিয়ে দ্বিধান্বিত ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের এই দ্বিধা বাংলাদেশের প্রতি সহমর্মী করে তুলেছে মিসবাহকে। ওভালে শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২-২ সমতায় সিরিজ শেষ করার পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এটা পুরোপুরি তাদের (ইংল্যান্ডের) সিদ্ধান্ত। তবে কোনো দল ঘরের মাঠে খেলতে না পারলে তা ক্রিকেটের জন্যই ভালো খবর নয়।’ এর পর বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে মিসবাহর মন্তব্য, ‘বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে। তারা পাগলের মতো ক্রিকেটভক্ত। ঘরের মাঠে সিরিজ আয়োজন থেকে বঞ্চিত হলে বিশাল ক্ষতি হবে তাদের।’
কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের ‘হোমগ্রাউন্ড’ আরব আমিরাত। অনেকের ধারণা, আমিরাতের কন্ডিশন অনেকটা একই রকম বলে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের খেলতে সুবিধাই হয় সেখানে। তবে মিসবাহ এমন ‘মতবাদ’ মেনে নিতে নারাজ, ‘মাঝেমধ্যে লোকে ভাবে, আমিরাতে খেলা আমাদের জন্য অনেক সহজ। তারা মনে করে, সেখানকার উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি বলে আমরা জয় পাই। কিন্তু নিজের দেশ, পরিবার আর বন্ধুদের ছেড়ে দিনের পর দিন খেলতে নামা খুব কঠিন।’ কতটা কঠিন, তার উল্লেখও করেছেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক, ‘আমি আমার মাকে বছরে মাত্র একবার দেখতে পারি। বোনকেও দেখতে পারি বছরে একবার। দেশের হয়ে খেলার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে তো তিন-চার বছরেও দেখা হয় না। আমাদের সব সময় দেশের বাইরে থাকতে হয়।’
No comments:
Post a Comment